আবির হাসান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন

আবির হাসান

|

শিক্ষার্থীর অধিকার, ডিজিটাল সেবা আর মানবিকতার অঙ্গীকার নিয়ে আমি আবির হাসান ডাকসু নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।

ইশতেহার

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য বর্তমানে পরিবর্তনশীল আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ আমাকে উৎসাহ দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের কল্যাণ প্রত্যাশী হিসাবে দীর্ঘদিন লড়াই করেছি। আমি মনে করছি, শুধু লড়াই করা শেষ কথা না, তাদের জন্য সক্রিয় হয়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি হলে নিজের সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে কল্যাণ নিশ্চিত করে একটা আদর্শ স্থাপন করা আমার দায়িত্ব। যা আমাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোবল দিয়েছে৷

ডাকসুর আসলে খুব বেশি ক্ষমতা নাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে ডাকসু একটা ব্রিজ। ডাকসু শিক্ষার্থীদের হয়ে কথা বলে, শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের সাথে নেগোসিয়েশন করে। অর্থাৎ কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট প্রণয়ন, এ ধরনের কোনো ক্ষমতা ডাকসুর নাই। যারা ১ বছরে ঢাবিকে ইউরোপ-আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছে, সেটা অনেকাংশেই মিথ্যা স্বপ্ন। চাইলে ইশতেহারে ম্যালা কিছু যুক্ত করা যাইতো। কিন্তু আমি চিন্তাভাবনা করে দেখেছি যে, প্রায় সব প্রার্থীরাই আবাসন সমস্যা, খাবারের মানোন্নয়ন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ইশতেহারে উল্লেখ করেছে। তাই গদবাঁধা সব কর্মপরিকল্পনা আমি আমার ইশতেহারে যুক্ত করি নাই। আমি ৫টা জিনিস আইডেন্টিফাই করেছি যেগুলো নিয়ে খুব বেশি মানুষ কথা বলছে না। আমি নির্বাচিত হলে নিচের দাবিগুলো আদায়ে সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকবো।

1

মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা

মানসিক স্বাস্থ্যের উপর জোর দিয়ে কাউন্সেলিং কে সহজলভ্য করা।

2

অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সহজীকরণ

রেজিস্ট্রার বিভাগের অনলাইন জটিলতা দূর করা।

3

পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থা

ফুটপাতে মূত্রত্যাগ রোধ করে পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা।

4

নিরাপত্তা জোরদার

নিপীড়ন রোধ সেল এবং সহিবার সিকিউরিটি সেলকে সক্রিয় করা।

5

শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক জোরদার

শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা এবং শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও অ্যাকাউন্টেবল করা।

ডাকসু নিয়ে আমার ভাবনা

যোগাযোগ করুন

আপনার মতামত গুরুত্বপূর্ণ

আপনার বার্তা পাঠান